প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ০৫:৪৩:৪১ || পরিবর্তিত: ২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ০৫:৪৩:৪১
ক্যাম্পস প্রতিনিধি-
 কখনো কখনো নিরবতাই সবচেয়ে উচ্চকণ্ঠ হয়ে ওঠে। কবি নজরুল সরকারি কলেজের নিস্তব্ধ করিডোরে আজ যেন এমনই এক অনুচ্চারিত ব্যথার প্রতিধ্বনি শোনা যায়। শ্রেণিকক্ষের নিভু নিভু আলো, মাঠের বিবর্ণতা আর ছাত্রদের মুখে জমে-থাকা চাপা হতাশার মধ্যে হঠাৎই দেখা দিল এক আশার আলো।
 এই আলো কোনো দূরাগত উজ্জ্বল তারার নয়—এটি জন্ম নিয়েছে এই ক্যাম্পাসেই, এই মাটির বুকেই। এগিয়ে এসেছে একঝাঁক তরুণ নেতৃত্ব,  একবিন্দু স্বপ্ন, একফোঁটা সাহস, আর একতাবদ্ধ চেতনাকে সঙ্গী করে তাঁরা উচ্চারণ করেছেন সাতটি দীপ্ত প্রত্যয়—যা শুধু দাবি নয়, একেকটি প্রতিজ্ঞা, একেকটি পথচিহ্ন।
 যাঁরা এগিয়ে এসেছেন—
 ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামি ছাত্রআন্দোলন, বিতর্ক সংগঠন, রক্তদাতা সংগঠন, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ও সাংবাদিক সমিতির সাবেক-বর্তমান নেতৃবৃন্দ একত্র হয়েছেন একটি কণ্ঠে, একটি লক্ষ্য নিয়ে।
 এই সংহতির যাত্রায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন—
 খন্দকার ইরফান আহমেদ ফাহিম (আহ্বায়ক, ছাত্রদল),
 মোঃ নাজমুল হাসান (সদস্যসচিব, ছাত্রদল),
 বায়জিদ মাহমুদ (সভাপতি, ইসলামী ছাত্রশিবির),
 হাসিব বিন হাসান (সেক্রেটারি, ইসলামী ছাত্রশিবির),
 নাহিদ ইসলাম ও সাদেক বাপ্পি (সাবেক সহ-সভাপতি, ছাত্র অধিকার পরিষদ),
 দেওয়ান মোহাম্মদ তাজিম (সভাপতি, ইসলামি ছাত্র আন্দোলন),
 আজম খান ও মাহাবুবুর রহমান (সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ডিবেট ক্লাব),
 মেহেদী হাসান (সংগঠক, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ),
 মনিরুজ্জামান (সাবেক সভাপতি, বাধন),
 অশিকার রহমান সরল (সভাপতি, Consumer Youth Bangladesh – KNGC),
 জাহিদ হাসান মিশু (সাবেক সভাপতি, সাংবাদিক সমিতি)।
 তাঁদের উচ্চারিত ৭ দফা অঙ্গীকার—
 নিশ্চয়ই, নিচে আপনার দেওয়া ৭টি দাবিকে পরিষ্কার, নির্ভুল ও শুদ্ধ ভাষায় গুছিয়ে দেওয়া হলো:
 ক্যাম্পাস উন্নয়নের ৭ দফা দাবি
 ১। হল সংস্কার এবং শিক্ষার্থীদের আবাসনের সংকট দূর করতে নতুন হলের জন্য নির্ধারিত জায়গা বরাদ্দ দিতে হবে।
 ২। ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য পৃথকভাবে নতুন আবাসিক হল নির্মাণ করতে হবে।
 ৩। শিক্ষার্থীদের চলাচলের সুবিধার্থে পরিবহন বাস চালু করতে হবে।
 ৪। শ্রেণীকক্ষের সংকট দূর করতে বহুতল একাডেমিক ভবন নির্মাণ করতে হবে।
 ৫। কলেজের ভৌগোলিক সীমা সম্প্রসারণে নতুন জমি বরাদ্দ দিতে হবে।
 ৬। ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন ভবন ভেঙে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন নতুন ভবন নির্মাণ করতে হবে।
 ৭। শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক সংকট দ্রুত নিরসন করতে হবে। 
শেষ কথা নয়, নতুন সূচনা
 এই সাতটি দফা, আসলে সাতটি দীপ্তি। তারুণ্যের হৃদয় থেকে উঠে আসা এই শব্দগুলো যেন প্রতিধ্বনিত হয় প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে, প্রতিটি মনে। সংহতির এই আহ্বান শুধু প্রশাসনের প্রতি নয়, এটি একটি প্রজন্মের প্রতিশ্রুতি—যেখানে কলেজ হবে কেবল শিক্ষার নয়, হবে মনন, মানবতা ও সংস্কৃতির কেন্দ্র।
 তাঁরা বলছেন—
 "আমরা কেবল অভিযোগ করতে আসিনি, আমরা পরিবর্তনের পথে হাঁটতে এসেছি।
প্রজন্মনিউজ/24 আরমান ইবনে আজাদ
‘বিএনপির উপর নিরর্ভর করছে এনসিপির সংসদে যাওয়া’
সাভারের ভাকুর্তায় জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদাণ
ফের জামায়াত আমির নির্বাচিত হলেন শফিকুর রহমান
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের সুযোগ নেই: মির্জা ফখরুল
মাইশা মৃত্যুর বছর পেরোলেও দৃশ্যমান হয়নি সড়কের নিরাপত্তা কার্যক্রম
ইসির প্রতীক তালিকায় যুক্ত হলো শাপলা কলি
বিএনপির এখন ‘না’ বলার কোনো অপশন নাই: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
চাঁদাবাজির অভিযোগ করায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে ককটেল হামলা